ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ চট্টগ্রামে তৃতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা একই সঙ্গে আসামি করা হয়েছে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহেরুল ইসলাম, মফিজুর রহমান, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানসহ ৭৭ জনকে।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর বাবা মো. জাকির হোসেনের পক্ষে আজ বুধবার (২১ আগস্ট) আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে ১৬ নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অপরাধ।

অন্যান্য আসামিরা হলেন
সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরও অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’জনের কথা বলা হয়েছে।