অবরুদ্ধ গাজার ২৪ লাখ মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে নতুন করে ভূমধ্যসাগরীয় সমুদ্রপথে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এই বহরে রয়েছেন প্রায় ১০০ জন মানবাধিকারকর্মী ও যাত্রী। তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও অধিকারকর্মী শহিদুল আলম। তিনি রয়েছেন ‘কনসায়েন্স’ নামের জাহাজে, যা বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ। শহিদুল আলম শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন, তাদের সঙ্গে শিগগিরই আরও আটটি ছোট নৌকা যোগ দেবে। ইতোমধ্যেই তারা ফিলিস্তিনি টাইম জোনে প্রবেশ করেছেন।
এই যাত্রা শুরু হয়েছিল গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালির অটরান্টো বন্দর থেকে। সেদিন ইতালীয় ও ফরাসি পতাকাবাহী দুটি জাহাজ যাত্রা শুরু করে। ৩০ সেপ্টেম্বর ‘কনসায়েন্স’ যোগ দেয়। অচিরেই “থাউজন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা” নামে আটটি ছোট জাহাজও যুক্ত হবে।

২০০৮ সাল থেকে এফএফসি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে একের পর এক মিশন চালিয়ে আসছে। তবে অতীতে এই ধরনের জাহাজে ইসরায়েলি নৌবাহিনী বাধা দিয়েছে, যাত্রীদের গ্রেপ্তার করেছে এবং সহায়তা সামগ্রী জব্দ করেছে। গত মাসেই গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি জাহাজ আটকে দিয়ে ৫০০–র বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজায় চলছে খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের করুণ বাস্তবতা। এর মধ্যেই নতুন এই বহর মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সক্ষম হবে কিনা, তা এখন বিশ্বজুড়ে কৌতূহলের বিষয়।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি







