চট্টগ্রাম শহরের বাহিরসিগন্যাল এলাকার একটি গুদামে পাম সয়াবিন তেলকে বোতলজাত করে বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা জানান, বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাম সয়াবিন তেল পরিশোধিত করার জন্য যে ভিটামিন ব্যবহার হয় সেটি ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ, ওজনে কম দেওয়া এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি।

এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মেপে দেখে ৮২০ থেকে ৮৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পেয়েছেন ভোক্তা কর্মকর্তারা। এছাড়া, বোতলের গায়ে মূল্য স্টিকারে ১৮২ টাকা লেখা আছে।
অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফয়জুল্লাহ বলেন, যে দোকানে সাপ্লাই দিয়েছেন সেখান থেকে আমরা এই গুদামের সন্ধান পেয়েছি। এখানে এসে দেখি তারা পামওয়েল বোতলজাত করে বিক্রি করছে। শুধু তাই নয়, পামওয়েল পরিশোধিত করার জন্য যে ভিটামিন ব্যবহার করা হয় সেটিরও মেয়াদ অনেক আগে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এরা শুধু মেয়াদোত্তীর্ণ ভিটামিন দিয়ে পামওয়েল পরিশোধিত করছে না, ওজনে কম দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে। আমরা মেপে পেয়েছি এক লিটার বোতলের সয়াবিনের সর্বোচ্চ ওজন ৮২০ থেকে ৮৪০ এমএল। বোতলে মূল্য লেখা আছে ১৮২ টাকা। এ হিসাবে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়ে ২২০ টাকা। আবার ২ লিটার বোতলে ১৮০০ এমএল লেখা থাকলেও আমরা পেয়েছি ১৭০০ এমএল এর মতো। তারা ১৭০০ এমএল এর দাম লিখে রেখেছে ৩৬৬ টাকা।