১৪ই মার্চ, ২০২৫

খুচরায় ১৬০ টাকা নির্ধারণ, বেশি নিলেই ব্যবস্থা

চট্টগ্রামে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট এখনই কাটছে না, খোলা তেলেই ভরসা

শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট এখনই কাটছে না। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রাহককে খোলা সয়াবিন তেলের ওপরই ভরসা করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ টার সময় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ভোজ্যতেল উৎপাদক, সরবরাহকারী এবং পাইকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা প্রশাসন।

এ সময় খোলা সয়াবিন তেলের আমদানিকারক থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এ সময় নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানিকারকরা ১৫৩ টাকা, ট্রেডার্সে ১৫৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকা প্রতিলিটার খোলা তেল বিক্রি করবে। যা আজ (মঙ্গলবার) থেকে কার্যকর হবে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যেকোনো পর্যায়ে কেউ যদি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি।

এর আগে গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকটের অভিযোগ স্বচক্ষে পরিদর্শন করতে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যান চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। পরিদর্শন গিয়ে ভোজ্যতেলের দেখা পাননি তারা। পরে সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ারি করে তেলের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ীদের বৈঠকে ডাকেন।

বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের সুযোগে অনেকেই খোলা তেল বেশি দামে বিক্রি করছে। আজকে সবার মতামত নিয়ে আমরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরও নির্ধারিত দামের বাইরে গিয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট চলছে। সেটা কাটিয়ে উঠার জন্য সবার সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেল খুচরায় সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় বিক্রি করা যাবে। কেউ চাইলে এরচেয়ে কমেও বিক্রি করা যাবে। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি বিক্রি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো ব্যবসায়ী খুচরা বা পাইকারি বাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি করেন। তাহলে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে ব্যবসায়ী গ্রুপ টিকে ও সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা এবং ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন