১৯৬৩ সালে স্থাপিত চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক ছিল দেশের অন্যতম আধুনিক সড়ক। ৫৫ বছর আগে গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়কটি আরো প্রশস্ত করার লক্ষ্যে উভয় দিক থেকে ৩০—৪০ ফুট ভূমি অধিগ্রহন করা হয়। কিন্তু, ৫৫ বছর কেটে গেলেও সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করা হয়নি।
আজ সোমবার (১২) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন করে সাত সংগঠন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম রাঙামাটি চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে ভূমি অধিগ্রহণ থাকা সত্ত্বেও সড়কটির উন্নীত করা হয়নি। সম্প্রতি ৫০ কোটি টাকা দিয়ে উভয় দিকে পাঁচ থেকে সাত ফুট বড় করা হচ্ছে। যা সড়ক ব্যবহারকারীদের কোনো কাজে আসবে না। তাই অচিরেই এই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বক্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কটি একটি মহাব্যস্ত সড়ক। ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি ৯০ লক্ষাধিক জনগণ এই সড়ক ব্যবহার করে। এই সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের সঙ্গে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, কাপ্তাই, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির সঙ্গে যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সড়কটি উন্নয়নের জন্য বর্তমানে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা জনগণের কোনো উপকারে আসবে না।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতব উদ্দিন বাহার, চট্টগ্রাম সড়ক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ সাধারণ সম্পাদক হাজী হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়ার শাখার সাধাণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।
মানববন্ধন আয়োজনকারী সাত সংগঠনগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়া শাখা, চট্টগ্রাম সড়ক উন্নয়ন কমিটি, সড়ক উন্নয়ন কমিটি ইউনিট ৪, সড়ক উন্নয়ন কমিটি ইউনিট ৩, সড়ক উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি, কাপ্তাই সড়ক উন্নয়ন কমিটি পোমরা ইউনিয়ন শাখা, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন।