রাত হলেই আক্রমণাত্মক হয়ে আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেড এলাকার পাহাড়ি হাতি। ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ শিশু-নারী-বৃদ্ধসহ অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার ৩ মাসের এক শিশু হাতির আক্রমণে নিহত হয়। ওই দিন ভোর থেকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর বনবিভাগ ৪ দিনের সময় নিয়ে আশ্বাস দেন। আজ ৪দিন পূর্ণ হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা।
এদিন দীর্ঘদিনের এ হাতি-সমস্যা নিরসনের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা। কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পেলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন অবরোধকারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর ছয়টা থেকে টানেল সংযোগ সড়কের কেইপিজেড দৌলতপুর স্কুল এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নুরুল আজিম বলেন, গত ২২ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি। কিন্তু তারা আমাদের আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। তাই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। আমরা যদি হাতি সরানোর বিষয়ে কোনো আশ্বাস পাই, তাহলে অবরোধ তুলে নিবো।
এ বিষয়ে বন বিভাগের বাঁশখালী জলদী রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, হাতি সরানোর বিষয়ে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। আর এ বিষয়ে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিলো তারা হাতিগুলো সরানোর বিষয়ে কোনো সুপারিশ করেনি। উল্টো তারা হাতিগুলো রাখার পক্ষে সুপারিশ করেছেন।
এদিকে অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কেইপিজেডের শ্রমিকসহ ওই সড়কে চলাচল করা আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার যাত্রীরা।