১৬ই এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রামে আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, মা-মামাকে রক্তাক্ত করে লুটপাট!

শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেনের বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় লুটপাতে বাধা প্রদান করায় কামরুল হোসেনের মা রাশেদা আক্তার (৬০) এবং মামা আইনুল কবিরকে (৪৮) মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

গতকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ভালুকিয়া গ্রামে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, যুবদল নেতা হকসাব, আলমগীর, শাখাওয়াত মাসুদ কালার নেতৃত্বে এই হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। তারা শুধুই কামরুল হোসেনের বাড়িতে হামলা করে থেমে থাকেনি, একই ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার গ্রামে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, সহ-সভাপতি এমরান হোসেন এবং ছত্তরুয়া গ্রামে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত উল্লাহ রিপনের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালায়।

এ সময় শাখাওয়াত উল্লাহ রিপনের ভাড়াটিয়া নাঈমার বাসায় ভাঙচুর ও নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবাই বাড়িছাড়া। গ্রামে শুধু পরিবারের লোকজন আর আত্মীয়স্বজন থাকে। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমার ঘর, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, শাখাওয়াত উল্লাহ রিপন, কামরুল হোসেন, এমরান হোসেনের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় কামরুলের মা ও মামার ওপরও বিএনপি যুবদলের নেতাকর্মীরা মারধর করে। জড়িতদের আটক করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চান তিনি।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, করেরহাট ইউনিয়নে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবেশ শান্ত হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন