১২ই মার্চ, ২০২৫

হাছান মাহমুদ ও স্ত্রী-কন্যার নামে ৭০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লেনদেন ৭৫০ কোটি টাকা বেশি!

শেয়ার করুন

আ.লীগ ক্ষমতায় থাকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। নামে-বেনামে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন নিজের এবং স্ত্রী-কন্যার নামে। এসব প্রতিষ্ঠানের রয়েছে মোট ৭০টি ব্যাংক হিসাব। আর সেসব ব্যাংক হিসাবে মোট ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো চোখ যেন কপালে উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের।

বাসসের হাতে আসা ব্যাংক হিসাবে তথ্যে দেখা যায়, এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে বর্তমানে স্থিতি আছে ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ২০২ টাকা। দেশের মেঘনা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউিরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুাল ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পুবালী ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি ব্যাংকে এই লেনদেন হয়েছে।

যে সব ব্যাংকে হিসাবগুলো পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে গ্লোবাল ইসলামী ব্যংকে ১৬টি, মেঘনা ব্যাংকে ১৭টি, এবি ব্যাংকে ৯টি, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে দুটি, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ১৮টি জনতা ব্যাংকে একটি, ইউনিয়ন ব্যাংকে চারটি এবং পুবালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট। অথচ হাছান মাহমুদ ও স্ত্রীর নুরান ফাতেমার আয়কর ফাইলের সঙ্গে এসব আয় সংগতিপূর্ণ নয়।

হিসাব কষে দেখা যায়, আয়কর ফাইলের তথ্যের চেয়ে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া সম্পদ অর্জনের হার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গুণ বেশি।

হাছান মাহমুদের স্ত্রী কন্যা ছাড়াও তার দুই ভাই এরশাদ মাহমুদ এবং খালেদ মাহমুদের নামেও বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়েছেন। তাদের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমি দখল, বন বিভাগের পাহাড় দখল, বাংলোবাড়ি ও বাগানবাড়ি নির্মাণ, পুকুর কেটে মৎস্য চাষ, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অট্টালিকা ভবন ও ফ্ল্যাটের মালিকানা, আবুধাবির আজমান এলাকায় বিশাল জায়গা নিয়ে রিসোর্ট তৈরির মতো বিভিন্ন অভিযোগ জমা হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ ও পরিবারের সদস্যদের নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান টিম।

টিমের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল, সহকারী পরিচালক আল আমিন, সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম। তারা দেশে ও দেশের বাইরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে। যা যাছাই-বাছাই করা হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ২৪ এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্মগোপনে চলে যান।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন