১৪ই মার্চ, ২০২৫

নিষিদ্ধের পরও রাজনীতিতে যুক্ত থাকাসহ দখল-সন্ত্রাসের অভিযোগ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগ কর্মী

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকাসহ ছাত্ররাজনীতির নাম ভাঙিয়ে একক কর্তৃত্ব, বিভিন্ন সময় কক্ষ দখল, ছাত্রাবাসে অবৈধ প্রবেশ ও মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৪ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকও আছে। তাদেরকে সর্ব সর্বনিম্ন ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া, আরও ১১ শিক্ষার্থীকে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, তাদের বেশির ভাগই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। মূলত, এই দুই গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন সময় মারামারি ও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে কলেজে।

আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যক্রর হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বহিষ্কার আদেশে সই করেন।

এর আগে গতকাল রোববার (২৭ অক্টোবর) মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া ১১ শিক্ষার্থীসহ মোট ৮৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

জানা গেছে, ৭৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জনকে দুই বছর, ১৫ জনকে ১ বছর ৬ মাস, ৩৭ জনকে ১ বছর ও ১৬ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, তালিকায় এক নম্বরে থাকা এমবিবিএস ৫৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিকুন ইসলাম চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু সার্জারির বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিজের স্বাক্ষরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তাসলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল এই শাস্তিমূলত ব্যবস্থার অনুমোদন করেছে।

অধ্যক্ষ ডা. জসিম উদ্দিন জানান, শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭ জনকে এর আগে ২০২৩ সালের মার্চেও একবার একাডেমিক কাউন্সিল বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছিল। তাদের আবারও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ওই শাস্তির পাশাপাশি নতুন শাস্তিও কার্যকর করা হবে।

তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন