গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় তরুয়া হত্যার ঘটনায় ২০৬ জনকে আসামি করে ২০ সেপ্টেম্বর সিএমপির চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিল বন্ধুর মোহাম্মদ আজিজুল হক। সেই মামলায় কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি নেজাম উদ্দীনকে ৪৫ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু, চান্দগাঁও থানা পুলিশ বাদিকে না জানিয়েই নেজামের নাম বাদ দিয়ে তা রেকর্ড করে।
বিষয়টি জানাজানি হয় সোমবার পাঁচলাইশ থানা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা নেজাম উদ্দিনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার পর। তার নামে কোন হত্যা মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে আটক না করে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে তিনি তার কর্মস্থল কুমিল্লায় সিআইডিতে ফেরতে গেছেন।
বাদি আজিজুল হকের মামলার আবেদন ও বর্তমানে চাঁন্দগাও থানায় রেকর্ডভুক্ত মামলা সংগ্রহ করেছে একটি জাতীয় দৈনিক। সেখানে দেখা যায়, আজিজুল হকের আবেদনে ওসি নেজামের নাম থাকলেও রেকর্ডভুক্ত মামলায় তার নাম নেই।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদি আজিজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, হৃদয় আমার বন্ধু। গত ১৮ জুলাই সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ২৩ জুলাই মারা যায়। ওই ঘটনায় আমি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসানসহ মোট ২০৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের আবেদন করি। সেখানে ৪৫ নম্বর আসামি ছিলেন ওসি নেজাম।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু গতকাল নেজামকে ধরার পর পাঁচলাইশ থানায় সোপর্দ করলে সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। অথচ তার বিরুদ্ধে আমি হত্যা মামলা দায়ের করেছি। হত্যা মামলার আসামিকে কীভাবে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম পুলিশের উত্তরের ডিসি মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ওইদিন বাদি যেটি মামলার জন্য আবেদন করেছে, সেটিই পুলিশ রেকর্ড করেছে। নাম না থাকার বিষয়টি বাদি-ই ভালো জানবেন। নেজামের নাম না থাকায়, তাকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।