চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে ইউনিটটি তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম।
দুদক সূত্র জানায়, শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এবং শিক্ষক নিয়োগ নীতি লঙ্ঘন করে প্রতিটি নিয়োগে ১৬-২০ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং এভাবে প্রায় ১০০ জনের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

জানা যায়, উপাচার্য হিসেবে শেষ কর্মদিবসে বিনা বিজ্ঞাপনে অর্ধশতাধিক কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছেন শিরীণ আখতার। এছাড়া, অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ ভবন উদ্বোধনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি।
সূত্রে জানা যায়, শিরীণ আখতার ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তিনি দায়িত্ব ছাড়েন। শিরিণের দুর্নীতি অনুসন্ধানে গত জুনে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ বলছে, শিরীণ আখতার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, সংঘবিধি ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রায় শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ৪ জুন ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। চবির মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও একই দিনে অন্য একটি সভায় ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।