১৪ই মার্চ, ২০২৫

গুলি ঠেকিয়ে ৭৪ কোটির জাহাজ কেড়ে নিল হাছান মাহমুদ, স্ত্রীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার করুন

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক বেরিয়ে আসছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের দুর্নীতি ও দখলবাজির খবর। জোরপূর্বক জমি-পাহাড়-জঙ্গল থেকে শুরু করে নদী-খালও দখল করেছে পরিবারটি। নিজেদের মতের বাইরে গেলে হামলা-মামলা করা হতো।

এবার ড. হাছান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী নূরেন ফাতেমাসহ পরিবারের আরও দুই সদস্যের বিরুদ্ধে মাথায় গুলি ঠেকিয়ে চট্টগ্রামের এফএমসি ডকইয়ার্ড থেকে কোনো টাকা না দিয়েই  দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের নামে ৭৪ কোটি টাকা মূল্যের ২টি জাহাজের মালিকানা লিখে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের মালিক ড. হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরেন ফাতেমা।

সাড়ে তিন বছর আগে ঘটা এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন এফএমসি গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ডের হেড ক্লার্ক ফিরোজ আহমদ।

মামলা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- হাছান মাহমুদের ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ ও এরশাদ মাহমুদ, ব্যক্তিগত সহকারী এমরুল করিম রাশেদ, দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ নুর উদ্দীন ও হিসাব বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ এরাদুল হক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের মালিক ড. হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরেন ফাতেমা। দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের সঙ্গে এফএমসি ডকইয়ার্ডের ২টি কন্টেইনার ও ফিশিং জাহাজ নির্মাণে চুক্তি হয়। কোনো ধরণের টাকা না দিয়ে বল প্রয়োগ করে এফএমসি থেকে ১টি ফিশিং জাহাজ ডেলিভারি নিয়ে যায় দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস। অপর ১টি কন্টেইনার জাহাজের কোনো ব্যয় পরিশোধ না করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডেলিভারি দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এই নিয়ে এফএমসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ৭ মার্চ হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরেন ফাতেমার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে অন্য আসামিরা এফএমএসি ডকইয়ার্ডের নিরাপত্তা রক্ষী ও অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মারধর করেন। এরপর এফএমসির চেয়ারম্যান ইয়াছিন চৌধুরীর কক্ষে গিয়ে অস্ত্রের মুখে অলিখিত ১৫/২০টি স্ট্যাম্প ও এফএমসির ডকইয়ার্ডের অলিখিত লেটার প্যাডে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে তা ব্যবহার করে তারা প্রতিষ্ঠানটির অপূরণীয় ক্ষতি করে।

পরে মামলা করার প্রস্তুতির খবর পেয়ে আসামিরা এফএমসি গ্রুপের কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানকে অপহরণ, গুম, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানো ও হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন