১৯শে জুন, ২০২৫

নারীকে লাথি মেরে ভাইরাল সেই জামায়াত নেতা আকাশ চৌধুরী গ্রেফতার

শেয়ার করুন

জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মেরে ভাইরাল হওয়া বহিষ্কৃত জামায়াতকর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার (১ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নগরের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আকাশ চৌধুরী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নেচার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, আকাশ চৌধুরীকে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আটক করেছি। গত বুধবার গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৮ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’ নামে সদ্য গজিয়ে ওঠা একটি সংগঠন। হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে এক ছাত্রসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে দ্রুত বিচার আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

হামলার পরপরই ভাইরাল হওয়া ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’ কর্মীদের অতর্কিত হামলার পর প্রেসক্লাবের সংলগ্ন চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের সামনে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। সেখানে একজন পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে। আকাশ পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতা-কর্মীদের পেছন যান। সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন।

লাথি মারার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর জামায়াতে ইসলামী আকাশ চৌধুরীকে নিজেকে ‘কর্মী’ স্বীকার করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন