চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার ঘটনার পেছনে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর ‘সমন্বিত অপতৎপরতা’ দেখছে ছাত্রশিবির।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলটির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে ইতিমধ্যে বাম সংগঠন-ছাত্রদল একত্রিত হয়ে নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছাত্রশিবিরের তিনজন আহত হন।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন, ‘শিবির বরাবরই ছাত্রবান্ধব এবং গঠনমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরের অধীনে সরকারি কমার্স কলেজ অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হেল্প ডেস্ক এবং অভিভাবক ছাউনি স্থাপন করে। এখানে অভিভাবকদের ব্যাপক সাড়া এবং শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জমা রাখেন। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হেল্প ডেস্কে অতর্কিত হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে আমাদের তিনজন ভাই গুরুতর আহত হন।’
বাম সংগঠন-ছাত্রদল একত্রিত হয়ে নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, দেশব্যাপী ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট এবং ছাত্রসংসদ নির্বাচন বিলম্ব করতে ইতিমধ্যে বাম সংগঠন-ছাত্রদল একত্রিত হয়ে নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে সরকারি কমার্স কলেজে আমাদের আয়োজনে ছাত্রদল হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এসময় হামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিসমূহ হলো—ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।