এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগর এবং উপজেলাগুলোতে বসেছে ২২৮টি পশুর হাট। এর মধ্যে ৭৫টি স্থায়ী এবং ১৫৩টি অস্থায়ী হাট। কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য ৬৬টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ ছাড়া হাটে জাল নোট পরীক্ষণের মেশিন বসানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে।
এবারের পশুর হাটে আকর্ষণ বাড়িয়েছে অ্যারাবিয়ান উট ও দুম্বা। এ ছাড়া গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পাওয়া যাচ্ছে এসব হাটে। তবে শুরুতে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি কম, কোরবানির দিন ঘনিয়ে এলেই চলবে পশু বিক্রির ধুম।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে শুরু হওয়া পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেচাকেনা খুবই কম।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোরবানির দিন ঘনিয়ে এলেই বিক্রির ধুম শুরু হবে। আগেভাগে কোরবানির পশু কিনে রাখা ও খাওয়া-দাওয়া করানো বড় একটি ঝামেলার কাজ। সেই কাজকে এড়ানোর জন্য কোরবানির দু-এক দিন আগে পশু কিনতে হয়।
চট্টগ্রাম শহরে স্থায়ী তিনটি হাট :
নগরের সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় এলাকায় স্থায়ী হাট চালু হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরে অস্থায়ী ১০ হাট:
বাকলিয়া নূরনগর হাউজিং মাঠ, উত্তর পতেঙ্গায় টিএসপি মাঠ, আউটার রিং রোডের সিডিএ বালুর মাঠ, ৩৭ নম্বর মুনিরনগর আনন্দবাজার, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর রোডসংলগ্ন মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া আলমগীর সাহেবের মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের উত্তরে চেয়ারম্যান মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল এলাকার খালপাড় অস্থায়ী পশুর বাজার, সল্টগোলা লেভেল ক্রসিংসংলগ্ন খালি মাঠ ও ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের রেজাউল আমিন মাঠ।

চট্টগ্রাম শহরের বাইরে উপজেলার স্থায়ী-অস্থায়ী হাটগুলো :
মিরসরাইয়ে ২০টি, সীতাকুণ্ডে ১৫টি, সন্দ্বীপে ২০টি, ফটিকছড়িতে ২০টি, রাউজানে ১৬টি, রাঙ্গুনিয়ায় ২০টি, হাটহাজারীতে ২৩টি, বোয়ালখালীতে ১১টি, পটিয়ায় ১০টি, চন্দনাইশে ১৩টি, আনোয়ারায় ১৫টি, সাতকানিয়ায় ১৮টি, লোহাগাড়ায় ৭টি, বাঁশখালীতে ১২টি এবং কর্ণফুলীতে ২টি স্থায়ী-অস্থায়ী হাট বসছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে এবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গবাদিপশুর সংখ্যা ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি। তবে সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি পশুর। ফলে প্রায় ৩৫ হাজার ৩৮৭ পশুর ঘাটতি থাকছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, এবার পশু আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। ঘাটতি পশু দেশের অন্য জেলা ও পার্বত্য অঞ্চল থেকে পূরণ হয়ে যাবে। কোনো সংকট হবে না, বরং চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ পশুর হাট মহানগরে বসতে দেওয়া হবে না। চসিকের ১৩টি হাটের মধ্যে ৯টির ইজারা হয়েছে। ৪টির খাস কালেকশন করা হবে। সব মিলিয়ে পশুর হাট থেকে ভালো রাজস্ব আয় হবে বলে আশা করছি।