ছাত্রসেনা নেতা মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনের হত্যার ঘটনায় খুনিদের গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। প্রতিদিনই শহরের কোনো না কোন এলাকায় মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে, আজ শনিবার বিকালে বিশাল মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই সমাবেশ থেকে আগামীকাল রোববার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত।
সারাদেশ থেকে গাজীপুর যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সুন্নিজনতাকে। আর পরদিন সোমবার (৫ মে) সারাদেশে দুই ঘণ্টার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রসেনা। পরে সুন্নিজনতার অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল লালদীঘি ময়দান থেকে শুরু হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
আহলে সুন্নাত ও ছাত্রসেনা নেতাদের অভিযোগ, গত ২৬ এপ্রিল ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সুন্নি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক লোকজন নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন মাওলানা রইস। সেই কারণে গাজীপুরে পরিকল্পিতভাবে রইসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।

লালদিঘীর সমাবেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মঈনউদ্দিন আশরাফী বলেন, বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। শহীদ আল্লামা নুরুল ফারুকী হত্যার এত বছর পার হলেও বিচারের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এবার গাজীপুরের মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
এটি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আশরাফী বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও মব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিকল্প নাই। অথচ, পুলিশ প্রশাসন রইস হত্যার মামলা পর্যন্ত নেয়নি। পুলিশ কার ইন্ধনে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আমরা জানি না। রইসের খুনিদের গ্রেফতারে গড়িমসি করলে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসন দায়ী থাকবে।
সমাবেশে অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরীর সভাপতিত্বে এবং মাস্টার আবুল হোসাইন ও সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা আবদুল করিম কুতুবী, এম সোলাইমান ফরিদ, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, মুফতি কামাল উদ্দীন আজহারী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, পীর শাহেদুর রহমান হাশেমী, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন খালেদ, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, আবদুর রহিম, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী, মাওলানা নুরুল মোস্তফা হেজাজী, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আখতারী, ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা হাফেজ সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা ইউনুস তৈয়্যবী, এমএ সবুর, অ্যাডভোকেট মোখতার আহমদ ছিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা মঈনুদ্দীন চৌধুরী হালিম প্রমুখ।