প্রথমবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় করল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আর এর মাধ্যমে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৫ মাসের মাথায় বড় চমক দেখালেন ডা. শাহাদাত হােসেন।
দীর্ঘদিন ধরে চসিক নির্ধারিত ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকরের বিপরীতে বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করে আসছিল মাত্র ৪৫ কোটি টাকা। এতে বছরে ১১৫ কোটি টাকা করে রাজস্ব বঞ্চিত হয় সিটি করপোরেশন। দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে নির্ধারিত পৌরকরের পুরোটাই আদায়ের উদ্যোগ নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন মেয়র শাহাদাত। বন্দর কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া না দেয়ায় মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হন মেয়র। আর তাতেই সফল হন। চিঠির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি চসিককে আপাতত ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশনা দিয়ে বন্দরের চেয়ারম্যানকে দাপ্তরিক পত্র দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের হাতে ১০০ কোটি টাকার চেকটি তুলে দেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মুনিরুজ্জামান।
এ প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে নগরবাসীর মৌলিক অধিকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বছরে ৭০ কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি আমরা। দায়িত্ব গ্রহণের পরই চসিকের এ ধরনের সেবাগুলো সচল রাখতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে জোর দেই। বন্দর থেকে পৌরকর আদায়ের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তদবির করি। মন্ত্রণালয় এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তা এই ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার ফলে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক সেবা বাড়াতে পারবে চসিক।
এ সময় মেয়র ও বন্দর চেয়ারম্যান বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। বন্দর চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়র বন্দর কেন্দ্রিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বন্দরের পক্ষে বন্দরের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, সচিব মো. ওমর ফারুক এবং চসিকের পক্ষে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী।
