চট্টগ্রাম শহরের আকবরশাহ এলাকায় মামা মো. সেলিম প্রকাশ মনিরের (৩৭) সহযোগিতায় নিজের স্ত্রী জেসমিন বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে স্বামী ফরহাদ (৩২)। এ ঘটনায় প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে জেসমিন বেগমকে গলাটিপে করে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফরহাদ ও তার মামা মো. সেলিমকে মৃত্যুদণ্ড, প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে মরদেহ গুম করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায়ের ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার নথি থেকে যায়, হত্যার শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ৬ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরহাদ জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর নগরের আকবরশাহের হারবাতলী গ্যাস লাইন নুর হোসেনের বাড়ি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে পাহাড়ে ফেলে দেন। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলাটিপে হত্যা করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে মরদেহ ফেলে তারা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে নগরের আকবরশাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদাল