এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কাউকে চিকিৎসকের স্বীকৃতি না দেওয়াসহ পাঁচ দাবিতে আবারও (দ্বিতীয় দফায়) কর্মবিরতি পালন করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরাও ক্লাস বর্জন করেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে তারা কাজে যোগ দেননি।
এরপর মিছিল নিয়ে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বেসরকারি ৮ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এতদিন আন্দোলন চলমান থাকার পরও যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাটস, ডিএমএফসহ কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না। এ ছাড়া চিকিৎসকদের চাকরিতে বয়স ৩২ বছর থেকে বাড়াতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি হলো—
১. এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না।
২. বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে।
৩. ২০১০ সাল থেকে সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে।
৪. এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দেওয়ার ফলে রোগীদের সেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের স্থায়ী চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া, নার্সদের ওপর চাপ বেড়েছে।
সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা গেছে, রোগীর তুলনায় নার্সদের সংখ্যা কম হওয়ায় একটি বা দুইটি খেজুর, সঙ্গে এক গ্লাস পানি পান করেই রোগীদের সেবা করতে হচ্ছে। সারাদিন রোজা রেখে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না।
