চট্টগ্রাম শহরের ১৮ এলাকায় তীব্র পানি সংকট চলছে। আর এর প্রতিবাদে ওয়াসা অফিস ঘেরাও করেছেন শতাধিক ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দামপাড়া কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পানির অনিয়মিত সরবরাহের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানি সংকট চলছে, যা রমজানে আরও তীব্র হয়েছে। ধনিয়ালাপাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়মিত পানি পাচ্ছি না। শনিবার থেকে পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মো. রফিক বলেন, নগরের বাসাবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজসহ সবখানে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ওয়াসার পানি এখন দুর্ভোগের আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, শনিবার (৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সাগরিকা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) উন্নয়নকাজ চলাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভুলে ওয়াসার প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে আগ্রাবাদসহ অন্তত ১৮টি এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম জানান, প্রায় ১৫ ফুট গভীরে থাকা পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে মেরামত কাজ চলছে।
বিক্ষোভকারীরা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দ্রুত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে জানান, আজ সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে।
আনোয়ার পাশা বলেন, রোজার আগে একবার প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এবার আবার একই ঘটনা ঘটল। আমরা আশা করছি, আজ সন্ধ্যার মধ্যে পাইপলাইন মেরামত শেষ করে পানি সরবরাহ পুনরায় চালু করা যাবে।
