চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই জামায়াত নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার কারণ জানা গেছে। নিহত নেজাম ও ছালেক একাধিক মামলার আসামি। এর মধ্যে শুধুমাত্র ছালেকের বিরুদ্ধে আছে ৮ মামলা। তার মধ্যে দুটি হত্যা মামলা, রয়েছে চুরি ও বিস্ফোরক মামলাও। তারা ঘটনাস্থল এলাকায় স্বদলবলে ৮ সিএনজি নিয় গিয়েছিল চাঁদা তোলার জন্য। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি দেয়। এ সময় নেজাম ছালেকের ছোড়া গুলিতে আহত হন ৫ জন। আর সেই অস্ত্রগুলো গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ষোলশহর দুই নম্বর গেটে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, সাতকানিয়ায় মারা গেছে নেজাম এবং ছালেক। ছালেকের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে, তার মধ্যে দুটি হত্যা। এছাড়া চুরি ও বিস্ফোরক আইনেও মামলা আছে। নেজামের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। তাদের গতিবিধি যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি, বিগত তিন মাসে ওই এলাকায় তারা বিভিন্ন কাজে গিয়েছেন অন্তত ৮ বার। ঘটনার দিন তারা ৭টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে গিয়েছিলেন। ওখানে যারা দোকানদার ছিল তাদের কাছে অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন। এর চার-পাঁচদিন আগেও চাঁদার জন্য সেখানকার এক ইউপি সদস্যের স্ত্রীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন তারা। এর ফলে স্থানীয়দের মাঝে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়। তারা সেখানে চাঁদার জন্য যেতেন বলে আমরা তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি।

হত্যাকাণ্ডে মানিক চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, একটা কথা উঠেছে, একটি বিশেষ দলের চেয়ারম্যান সেখানে ছিল কিনা। আসলে সেখানে বিশেষ দলের কোনো ব্যক্তি বা চেয়ারম্যানকে আমরা খুঁজে পাইনি কিংবা তাদের সম্পৃক্ততা কোথাও পাইনি। বরং নিষিদ্ধঘোষিত একটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের আমরা অবিরত খুঁজে যাচ্ছি। তাদেরকে ধরা আমাদের দায়িত্ব।
কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ছিল নেজামের কাছে- এ তথ্য জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নেজাম খুন হওয়ার পরে যে অস্ত্রটি পেয়েছি, সেটি সিএমপির কোতোয়ালী থানার লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র। গুলি করতে করতে অস্ত্রের গুলি শেষ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র কীভাবে তাদের কাছে গেল- বিষয়টি অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। এগুলো আমাদেরকে খুঁজতে হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।