১৪ই মার্চ, ২০২৫

খাতুনগঞ্জ থেকে ‘উধাও’ সয়াবিন তেল, খুঁজতে গিয়ে দেখা পাননি মেয়র-জেলা প্রশাসকও

শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বাজারে অনেকদিন ধরেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের খবর গণমাধ্যমে আসছে। রোজা শুরুর আগের সপ্তাহ থেকে সেই সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বারবার অভিযান চালিয়েও কোনো সমাধানে আসতে পারেনি।

এবার চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যৌথ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন। আর এতে অংশ নিয়েছেন মেয়র ও জেলা প্রশাসকও।

অভিযানে পুরো খাতুনগঞ্জ ঘুরে কোথাও বোতলের ভোজ্যতেলের দেখা পাননি। এই অভিজ্ঞতার পর আগামীকাল মঙ্গলবার সার্কিট হাউজে ভোজ্যতেলের আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও আড়তদারদের বৈঠকে ডেকেছেন তারা।

এ সময় তারা হুঁশিয়ারি করে বলেন, ওই বৈঠকের পরও তেলের দাম না কমলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ বেশ কয়েকদিন ধরেই কমপ্লেইন করছিল, ভোজ্য তেল বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। যেগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৮০ টাকা, ২০০ টাকার উপরে চলে গেছে। সে কারণে আজ আমরা এখানে এসেছি। এখানে দেখতে পাচ্ছি ভোজ্যতেল মোটেও পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, দুয়েকটি দোকানে আমরা কিছু তেল পেয়েছি, সেগুলো মান কেমন তা পরীক্ষা করতে আমরা স্যাম্পল নিয়েছি। আমাদের সাথে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন। পরীক্ষা করে দেখব, আদৌ এগুলো ভোজ্য তেলের মত কিনা।

“আজকে সরেজমিন এসেছি, যাতে এ কথাগুলো তাদের বলতে পারি। আজকে কিন্তু কোথাও আমরা তেল পাইনি। তেলগুলো তারা সরিয়ে রেখেছে। কোথায় সরিয়ে রেখেছে তার তথ্য কিন্তু ইন্টেলিজেন্স আমাদের দিচ্ছে। এটা না যে, আমরা জানি না।”

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, আমরা ভিজিল্যান্ট আছি। বাজারে ভোজ্য তেলের ব্যাপক সংকট আছে। সাথে চিনিরও সংকট আছে। আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে টিকে গ্রুপ তেল বাজারজাত করছে না। আমরা টিকে গ্রুপের সাথে বসব।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল ভোজ্যতেলের পাইকারি আড়তদারদের সাথে বসব। বসে কোনোভাবে উত্তরণের পথ বের করব। আগামীকাল বসবার পরেও যদি বাজারে তেল সহনীয় পর্যায়ে না আসে তাহলে আমরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন