১৪ই মার্চ, ২০২৫

ছুটির দিনে প্রাণ ফিরে পেয়েছে চট্টগ্রাম বইমেলা, উপচে পড়া ভিড়

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ি এলাকার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে অমর একুশে বইমেলা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে লেখক-পাঠক এবং দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে লেখক, পাঠক, দর্শনার্থী এবং সংস্কৃতিকর্মী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। বিকেলের পর থেকে স্টলগুলোর সামনে দীর্ঘ সারি, লেখকদের সঙ্গে আড্ডা, অটোগ্রাফ সংগ্রহ, সেলফি এবং মুখরোচক খাবারের আয়োজন মেলাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।

মেলায় শিশুদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। মা-বাবা বা শিক্ষকের হাত ধরে বইমেলায় আসছে ছোট্ট সোনামণিরা। শিশুতোষ বইয়ের বিক্রি বাড়ছে, পাশাপাশি গল্প-উপন্যাসের বইও পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে, কবিতার বইয়ের বিক্রি তুলনামূলক কম থাকলেও কবিতাপ্রেমীরা স্টল ঘুরে দেখছেন।

এবারের বইমেলায় মোট ১৪১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ঐতিহ্য, ইউপিএল, কথাপ্রকাশ, অন্যপ্রকাশ, অনন্যা, অক্ষরবৃত্ত, ঝিনুক, গ্রন্থরাজ্য, অ্যাডর্ন, শিখা, সিয়ান, জ্ঞানকোষ, বেঙ্গল বুকস, পাঞ্জেরী, স্বাধীন, মনন, বিদ্যানন্দ, তৃতীয় চোখ, রোদেলা, আদর্শ, জলধি, ঝিলমিল, কিংবদন্তীসহ দেশবরেণ্য অনেক প্রকাশনা সংস্থা।

ইসলামিক বইয়ের মধ্যে তরজুমান, দ্বীন দুনিয়া, মাইজভাণ্ডারী, আলোকধারা, রাহনুমা, মাকতুবাতুল আসলাফ, রুহানা, আয যিহান ইত্যাদির স্টলে ভক্তদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

চট্টগ্রামের প্রকাশনা সংস্থার বিশেষায়িত স্টলগুলোর মধ্যে অক্ষরবৃত্ত, স্বাধীন, খড়িমাটি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার উল্লেখযোগ্য।

চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি ও বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু জানান, মেলায় প্রতিদিন পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে, বিশেষ করে ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সামনের দিনগুলোতেও এই ভিড় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাঠকদের মধ্যে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষ, ক্যারিয়ার ও মোটিভেশনাল বইয়ের চাহিদা বেশি। প্রকাশকরাও বেশ সন্তুষ্ট, কারণ বই বিক্রি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হচ্ছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এক লাখ বর্গফুটজুড়ে বিস্তৃত এ বইমেলা চট্টগ্রামের সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য হয়ে উঠেছে এক মহামিলনের কেন্দ্রস্থল।

আগামী দিনগুলোতে পাঠক-দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আয়োজকদের আশা। বইপ্রেমীরা মেলায় এসে প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহের পাশাপাশি নিজেদের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছেন।

ছবির ক্যাপশন : ছুটির দিনে শুক্রবার মেলায় বিভিন্ন স্টলে ভিড় করেছেন পাঠকরা

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন