‘গত জুলাই আন্দোলনে শহীদ ভাইদের নিয়ে এখনো মামলা ব্যবসা হচ্ছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না। এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ছাত্র জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১০৫ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে এসে এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, নতুন করে এই বাংলাদেশে ওই পোশাক পরে কিছু পুলিশ সদস্য আবার একটি দলের হয়ে কাজ করছে। দয়া করে ওই পোশাকটা খুলে রেখে চলে যান। আমরা কিন্তু জীবন দিতে শিখে গিয়েছি।

সারজিস আলম বলেন, শেখ হাসিনা ও তাদের দোসররা নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে। নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা আবারও সড়কে নামবে।
জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এখনও যারা সাফাই গাচ্ছে তারা শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট। যা সে এতো বছর লালন করেছে। এসব কীটদের যদি পাখা গজায় তাহলে আজ থেকে ৫ বছর পর তারা শহীদ পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় এ জন্য সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে আবারও জীবন বাজি রাখতে আমরা প্রস্তুত।
আন্দোলনে স্বজন হারানোদের উদ্দেশ্যে বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির এই সদস্য বলেন, আপনাদের শক্ত হতে হবে। এই খুনগুলোর বিচার বাংলাদেশে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কথা বলে যাব। যে কেউ যদি আপনাদের নিয়ে ছেলেখেলা করার চেষ্টা করে- কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশে যুদ্ধ ঘোষণা করব।