১২ই মার্চ, ২০২৫

আগরতলায় বাংলাদেশী হাই কমিশন কার্যালয়ে উগ্র ভারতীয়দের হামলা, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়

শেয়ার করুন

ভারতের আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশী সহকারী হাই কমিশনে হামলা চালিয়েছে উগ্র ভারতীয়রা। এ সময় বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় সাইনবোর্ডে।

আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) ইসকনের সাবেক সদস্য চিন্ময় দাস প্রভুকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের ডানপপন্থী সংস্থা ‘হিন্দু সংগ্রাম স্মৃতি’ ত্রিপুরায় বাংলাদেশি সহকারী হাই কমিশনে হামলা চালায়।

দেশটির আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভটি সার্টিক হাউসের মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কের্যের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তার পুলিশি ব্যারিকেট ভেঙে বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশ করে।

ঘটনার পরই পরই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে যায়। পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি ড. কিরান কুমা এবং ডিজিপি অনুরাগ ধানকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিক্ষোভ চলাকালে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনারের কাছে একটি স্মারক লিপি পৌঁছে দেন। এ সময় একজন বিক্ষোভকারী বলেন, চিন্ময় দাসের সঙ্গে অমানবিক আচারণ করা হচ্ছে। তাকে খাবার পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য।

এদিকে, এ ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এর প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, মনে রাখবেন- বিদেশে একটা দেশের দূতাবাস মানে হচ্ছে, সে দেশের টেরিটরি। এর মানে বুঝতে পারছেন তো? ওরা এক অর্থে বাংলাদেশে হামলা চালিয়েছে সনাতনীদের কথা বলে। আপনারা নাকি বাংলাদেশে থাকতে পারছেন না। আপনাদের উপর নাকি বিরাট অত্যাচার হচ্ছে। সনাতনী ভাইয়েরা, আপনারা যদি আমাকে বিশ্বাস করেন। তাহলে নিজেদের সকল সংগঠন এবং আপনারা প্রত্যেকে নিজেদের জায়গা থেকে অন-লাইন এবং অফ-লাইনে প্রতিবাদ করুন। ভারতে আজ যা হলো এবং মমতা যা দাবি করেছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এরই মধ্যে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন