১৪ই মার্চ, ২০২৫

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রক্টর থেকে অধ্যাপক বনে যান

শিক্ষার্থীদের চাপে চবি অধ্যাপকের পদত্যাগ, ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি

ছবি : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রথমে সহকারী প্রক্টর, পরে ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার উভয়টিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩.০ পয়েন্ট এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পৃথকভাবে ৩.৫ থাকতে হবে। কিন্তু রন্টু দাশ এইচএসসিতে পেয়েছেন ২.৯২ এবং স্নাতকে ২. ৯৪।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর দাবি করা একদল শিক্ষার্থীর তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

উপাচার্য বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রে রন্টু দাশ লিখেছেন, ‘আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী স্বেচ্ছায় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এ বিষয়ে আপনাকে অবগত করছি।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চবি সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী বলেন, রন্টু দাশ ফ্যাসিবাদের দোসর। শিক্ষক হওয়ার মতো কোনো যোগ্যতাই তার নেই। ২.৯৪ সিজিপিএ নিয়ে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারে না। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক হয়েছেন।

ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামীমা হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনাটি তো অনেক পুরোনো। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মনে করি প্রক্টর স্যার সময় নিয়ে প্রয়োজনে মামলা করার দরকার হলে তা করবেন।

এ বিষয়ে প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন গণমাধ্যমকে, বিভাগ থেকে খবর পাওয়ার আগেই আমি দুইজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। শিক্ষার্থীরা কয়েকটি পত্রিকায় রিপোর্ট দেখিয়ে জানিয়েছে ওই শিক্ষক হত্যা মামলার আসামি ও পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী চাপের মুখে জোর করে বা অনিচ্ছাকৃত পদত্যাগ গ্রহণ হয় না। তাই আমি শিক্ষার্থীদের সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা তা বুঝতে সক্ষম হয়।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে দুই শিবির নেতা নিহত হন। তারা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মুজাহিদুল ইসলাম মুজাহিদ ও ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাসুদ বিন হাবিব। পরে এ ঘটনায় ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ৪২ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়। এতে অজ্ঞাতনামাসহ ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। সেখানে রন্টু দাশের নামও ছিল।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন