১৩ই মার্চ, ২০২৫

দোকান কর্মচারী ফারুক হত্যা— হাছান মাহমুদ-নওফেলদের বিরুদ্ধে ফের মামলা

হাছান মাহমুদ-নওফেলদের-ফজলে করিমসহ ২৬৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার করুন

গত ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী- পুলিশ ও আয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো. ফারুক। ওই ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী নওফেল, সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরিসহ ২৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করে নিহত ফারুকের বাবা মো. দুলাল। নিহত ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামে। ফার্নিচার দোকানে কাজ করে সচল রেখেছিলেন সংসারের চাকা।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারি, পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. মাসুম, চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, নগর যুবলীগের সভাপতি মাহাবুবুল হক সুমন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত ফারুক শুলকবহর এলাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। গত ১৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাষ্টিক এর বিপরীত পাশে জুমাইরা বিল্ডিং এর সামনে যান। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার উপর এলোপাথারিভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়। এছাড়া দা-কিরিচ, লোহার রড, চাপাতি দিয়ে আঘাতসহ শুটারগান, পিস্তল ইত্যাদি প্রাণঘাতি মরনাস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে বহু ছাত্র-জনতাকে আহত করে। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফারুকের বুকে, পেটে ও পায়ের রানে লাগে এবং তিনি আহত হন। তাকে বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, গত ১৬ আগস্ট মুরাদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকান কর্মচারি ফারুক নিহতের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতে ২৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন