কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শেষ হওয়া প্রকল্পের চাকরিতে নিজের ভাগনি ও ভাগনি জামাইসহ ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বহাল রেখে পৌণে দুই কোটি টাকা (১ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার ৮২০ টাকা) বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ । এ অডিট আপত্তি দিয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অডিট অধিদফতর। যা প্রকল্পের ডিপিপি/আরডিপিপির আদেশের লঙ্ঘন বলছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (২০ আগস্ট) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অডিট অধিদফতরের এঅ্যান্ডএও ও উপদলনেতা মো. তৌফিকুল ইসলাম ওয়াসার এমডির কাছে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিস্তারিত নিরীক্ষায় ব্যক্তিগত নথি, বেতন ভাতা এবং নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেইজ-২) এবং চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও মোট ২৬ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের রাজস্ব বাজেট কোড হতে বেতন ভাতাদি বাবদ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার ৮২০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। যেখানে প্রকল্প শেষ, চাকরিও শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চাকরিতে বহাল রেখে রাজস্ব খাত হতে অনিয়মিতভাবে বেতন ভাতাদি পরিশোধ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, চিটাগং ওয়াটার সাপ্লাই ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্টটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে এবং কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেইজ-২) এর মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের জুনে। প্রকল্প দুটি শেষে হলেও চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি একক ক্ষমতায় কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেইজ-২) নিয়োজিত নিজের ভাগনি রওনক জাহান ও ভাগনি জামাই আবু নোমান সিদ্দিকীসহ ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পুনর্বহাল করেন। যার অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসার নিজস্ব ফান্ড থেকে।
জানতে চাইলে ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে এমন অনেক অভিযোগ করে। আমরা চিঠির জবাব দেওয়ার পর আবার চুপ হয়ে যায়। এটা নিয়মতান্ত্রিক বিষয়। এটা তেমন কোনো বিষয় না।