পথচারী শহিদুল ইসলাম শহীদ একজন চাকরিজীবী। গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার থেকে বাজার করে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনের সামনে আসামিরা সহ ৩০/৪০ জন অজ্ঞাত লোক রাস্তা বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে আশপাশের অলিগলি থেকে বাঁশ, কাঠের লাঠি, ইট-পাথর, লোহার রড হাতে ককটেল ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহিদুল বহদ্দারবাড়ী শাহী জামে মসজিদের সামনের সড়কে পৌঁছালে আসামিদের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম। নিহত মো. শহিদুল ইসলামের বাসা নগরের বাকলিয়া এলাকায়। তিনি কোতোয়ালী থানার কদমতলী এলাকার একটি জুতার দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
মামলার আসামি করা হয়েছে—নগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মহিউদ্দীন ফরহাদ (৪৫), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. জালাল প্রকাশ ড্রিল জালাল (৪২), যুবলীগ কর্মী মো. ফরিদ (৪২), চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মো. তাহসীম (২৭), যুবলীগ কর্মী এইচ এম মিঠু (৪০), মো. জাফর (৩৮), যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ (৩৮) এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. দেলোয়ারকে (৪০)।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, সদ্য সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিমের বাসভবনে হামলার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে শহীদুল ইসলাম শহীদ নামে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার। মামলায় আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।