১৪ই মার্চ, ২০২৫

মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ক্রস ফিলিং করত চন্দনাইশের নুসরাত এন্টারপ্রাইজ, সেনাবাহিনী আসার খবরে পালিয়েছে সবাই

শেয়ার করুন

এক সিলিন্ডার থেকে আরেকটিতে গ্যাস ভরাকে বলা হয় ক্রস ফিলিং। এটা যেমন অবৈধ তেমনি ঝুঁকিপূর্ণও। মূলত, অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের গ্যাস নামিদামি ব্যান্ডের সিলিন্ডারে ভরে তা বাজারে বিক্রি করে থাকে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এমন একটি অবৈধ গুদামের সন্ধান পেয়েছিল সেনাবাহিনী। এরপর অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীর আসার খবরে মালিক ও কর্মচারীরা গুদাম রেখে পালিয়েছে।

এ সময় এক হাজার ৬৭২টি খালি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করেছেন উপজেলার প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চন্দনাইশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত মেজর ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরদিন শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলিন্ডার ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে তার আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সিলিন্ডারে গ্যাস ক্রস ফিলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির নকল স্টিকার ব্যবহার করে সিলিন্ডারগুলো বাজারজাত করছে মেসার্স নুসরাত এন্টারপ্রাইজ, গোপনে এমন খবর পেয়ে গুদামটিতে অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে বড় থেকে ছোট বোতলে গ্যাস ক্রস ফিলিং করার সত্যতা পাওয়া গেছে।

তিনি আরো জানান, তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। জব্ধকৃত খালি গ্যাস সিলিন্ডার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চন্দনাইশ উপজেলার প্রতিনিধি হাসনাত আবদুল্লাহর জিম্মায় রাখা হয়। একই সঙ্গে সিলিন্ডার আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন