১৪ই মার্চ, ২০২৫

অপারেশন ডেভিল হান্ট : চট্টগ্রামে ৭ দিনে ধরা খেল ১৬২ আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

শেয়ার করুন

গত শনিবার গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে একটি যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। ওই দিন থেকে চট্টগ্রামেও ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। গত ৭ দিনে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুন-গুম-নাশকতা এবং এসব অপরাধমূলক কাজে সহযোগিতার অভিযােগ আছে।

সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম বলেন, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও দণ্ডবিধি আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- কোতোয়ালি থানার অভিযানে তরিকুল ইসলাম (২৯), সেকান্তর হোসেন মিয়া (৫৩); খুলশী থানার অভিযানে মো. আবু ফয়সাল (৩৩); বাকলিয়া থানার অভিযানে মধুসদন দত্ত (৪৫); চান্দগাঁও থানার অভিযানে মো. শওকত হোসেন ওরফে বাবুল (৩৫), মফিজুর রহমান চৌধুরী (২৯); চকবাজার থানার অভিযানে নূর হোসেন (৪৮); বায়েজিদ বোস্তামী থানার অভিযানে মো. ইমন (৩৪); পাঁচলাইশ থানার অভিযানে মো. আবু হানিফ (২৫), মো. শুক্কুর আলী বাবু (২৩); ইপিজেড থানার অভিযানে মো. পান্না শেখ (১৯), মো. আনিসুর রহমান (১৯), মো. আলাউদ্দিন (৩২); বন্দর থানার অভিযানে মো. মুরাদ (৩৫); আকবরশাহ থানার অভিযানে রবিন দাশ (২৭); পতেঙ্গা মডেল থানার অভিযানে মোহাম্মদ রাহাদ (২০); কর্ণফুলী থানার অভিযানে শওকত হোসেন বাবু (৩৮), ইশরাত আশরাফি অপি (২৫) ও হালিশহর থানার অভিযানে ফয়সাল আহমেদ ওরফে মানিক (৪২)।

এর আগে গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ২৪ ঘণ্টায় ধরা পড়েছিল ৪০ জন। তারা শহরের বিভিন্ন থানা এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী, পরিকল্পনাকারী এবং সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন জানিয়েছিলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১টা হতে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সিএমপি’র বিভিন্ন থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শাহফাজ মিয়া (৩৪), মো. আবুল কালাম (৫৮), কাজী সালাউদ্দিন লাভলু (২৯), ইসতেশাম আলম দোভাষ ইশরাক (২১), মো. হাবিব উল্লাহ (২৮), মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫), মো. শাহাদাত হোসেন জুয়েল (৩২)।
তৌহিদুজ্জামান জয় (৩২), মো. ফারুক (৩৫), চকবাজার থানার আসামি মো. রবিউল হোসেন (২৬), বায়েজিদ বোস্তামী থানার আসামি হারুনুর রশিদ (৪৫), মো. টিটু মাঝি (৪০), তোফাইল আজম তাশকার (২৪), মো. রফিক (৩৫)। ফয়সাল (২১), মো. শাকিল(২২), মো. রুবেল(২০), মো. ইব্রাহিম(২০), সদরঘাট থানার আসামি মো. হাবিবুর রহমান মুন্না (৩৮), হালিশহর থানার আসামি মো. হৃদয় (২২), মো. রাব্বি (২৮), বিজ্ঞান কুমার নাথ (৫৬), মফিজ (৩২), খুলশী থানার আসামি মো. জাবেদ উদ্দিন (২১), মো. রেজাউল করিম (৩১), ইপিজেড থানার আসামি আরমান মিয়া (২৭), লালন ফকির (২৮), মো. রবিউল হাসান (১৭), পারভেজ (১৭), আসামি মো. ইউসুফ শান্ত (২৫), মো. সাদেক (৩৪), পতেঙ্গা মডেল থানার আসামি মো. মুন্না (২০), বন্দর থানার আসামি মো. নুর উদ্দিন(৪০), পাহাড়তলী থানার আসামি আব্দুল মালেক বাবুল (৬৪), গোলজার বেগম রুবি (৫৫), চান্দগাঁও থানার আসামি মো. নাছির উদ্দিন (৪০), বাকলিয়া থানার আসামি মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৮), সালাউদ্দিন রায়হান (২৫), মো. জুয়েল রানা (৩৪) ও কর্ণফুলী থানার আসামি সরোয়ার আলম বাপ্পি (৩৭)। এছাড়া আছে ডবলমুরিং মডেল থানার আইনের সংঘাতে জড়িত এক শিশু হেফাজতে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় অভিযান পরিচালনা করে ৩০ জন গ্রেফতার হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জোবায়ের খান ওরফে জুরাত (২৭), হাজি সেলিমুল ইসলাম (৭০), জসিম উদ্দিন (২৯), মো. জুয়েল ওরফে মামা জুয়েল (২৫), রুবেল ওরফে চাকমা রুবেল (৩৪), হাসনাত জামান বাবু (৪২), ইফতার হোসেন আলভি (২০), মো. হৃদয় (৯৯), সাইফুল ইসলাম (৫৬), রমজান আলী (৫৫), মো. নুর (৪৮), ইমরান হোসেন (৩২), এস এম ইউসূফ লিটন (৪৮), মো. এনাম (৩৫), আব্দুল জলিল রিফাত (২৫), রিয়াদ হোসেন (২১), শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ (২৭), মো. মঞ্জুর আলম (৪০), নাজিম উদ্দিন (৪২), ফয়সাল আক্তার চৌধুরী, শওকত মামুন (৫২), মো. সোলাইমান (৩০), সেকান্দর মিয়া (৫০), আজিম উদ্দিন (২৩), সৌরভ চৌধুরী (২৮), মো. ফারুক (২৯), আবুল কালাম (৫৮), আল আমিন (১৯), নাছির উদ্দিন নাহিদ (৪০) ও মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (৩৪)।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হাবিবুর রহমান (২৯), মো.সোহেল (২৪), সমির উদ্দিন (৩৪), মো.রাকিব (২৪), মো.রাজু (৩৫), মো.জাকির (২৮), মো.শিপন (২৫), মো.নুর হোসেন প্রকাশ নুরু (৪৫), মো.শাখাওয়াত হোসেন, শিউলি ইয়াছমিন (৪৬), মো.আবুল হাসেম (৫৪), মো. সাইফুল ইসলাম (২৬), সাইফুল ইসলাম (২৪), আবদুল আল মামুন (৩২), জাহাঙ্গীর আলম (৩৯), মো. আব্দুল মাসুদ (৪২), আলাউদ্দিন আলো (৩৫), মো.শাওন (২০), পতেঙ্গা মডেল থানার আসামি মো.মঞ্জু আলম (৪০), মো. আজাদ (৪৫), সানজিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশ রিজভী (১৯), মো.মাসুদ আলম (৩০), মো.জুবায়ের হোসেন সাগর (২০), মো.সাইফুল (২৮), প্রিয়ান্ত শীল (২০), মোহাম্মদ নুর (৪৫), মো.রমজান আলী (৫৫) ও গোলাম সরোয়ার আলিফ (২১)।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে ধরা হয়েছিল ১৯ জনকে।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. মাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রনি (১৯), শহিদুল আলম (২৭), শামছু আলম (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), প্রিয়তোষ চৌধুরী (৬২), ইমামুল হক (২৮), মো. পাভেল (৩০), মো. মনিরুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), মো. সুমন (২৯), মো. তামজিদ হোসেন (২১), মো. নাঈম গাজী (২১), মো. কচির উদ্দিন লিটন (৩৮), ইশতিয়াক ওয়াসিফ (২৫), রাসেল আহামদ (৩৮), মো. জুয়েল (৩০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৬) ও হাজী মো. ইব্রাহিম শরিফ (৪৯)।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন