১৪ই মার্চ, ২০২৫

সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন ও জহুর লালের বিরুদ্ধে মামলা করল যুবদল নেতা

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শৈবাল দাস সুমন ও জহুর লাল হাজারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন চন্দনাইশ উপজেলা যুবদল নেতা শিবলী নোমান। একই মামলায় আরও ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা গত ৪ আগস্ট নগরের কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট আমতল এলাকায় ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসীর যোগসাজশে দেশীয় অস্ত্র, কিরিচ, লোহার রড, হাত বোমা, লাঠিসোঁটা সহ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ত্রাস চালায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় আসামিরা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে আমতল শাহ আমানত মার্কেটের সামনে ৩ পোলের মাথায় ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে দূর থেকে মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে এবং হাতবোমা-ককটেল বিস্ফোরণ করে। দুপুর ৩টা থেকে ৪টার দিকে বাদী আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন। এরপর কিছু শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে হামলা চালানো আসামিদের নাম ও ঠিকানার তথ্য সংগ্রহ করে থানায় গেলে তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। যার ফলে মামলা করতে বিলম্ব হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী জিয়াউল হক জিয়া বলেন, শিবলী নোমান চন্দনাইশ উপজেলার যুবদলের নেতা। গত ৪ আগস্ট আন্দোলন করার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সেসময়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বেশকিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় তিনি ৭৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে নগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন