১৩ই মার্চ, ২০২৫

লায়লাকে ধর্ষণ করেছে টিকটকার প্রিন্স মামুন, প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ

শেয়ার করুন

টিকটক এবং ফেসবুকে পরিচিত মুখ প্রিন্স মামুন। তার বিরুদ্ধে সাবেক প্রেমিকা লায়লাকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ফলে মামলায় প্রিন্স মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান তদন্ত শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। পরে সেটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়। বিষয়টি আদালত সূত্রে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জানা গেছে।

এর আগে গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লায়লা। মামলার পরদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে এ টিকটকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে জামিনে আছেন।

তদন্তে যা পাওয়া গেছে: সাশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় লায়লার। পরে একপর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়াতে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন টিকটকার মামুন। এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে একসঙ্গে পথচলা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্বীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা পাকাপোক্ত করার জন্য দু’জনই একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। সম্পর্ক ঘনিভূত হওয়ার কারণে আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন মামুন। এরপর বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। আর একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন। যা কিনা প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন