পাওনা টাকা নিয়ে ভাতিজা রাশেদের (২৩) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় চাচা জালাল উদ্দিনের (৪৫)। এক পর্যায়ে কোমরে লুকিয়ে রাখা ছোরা দিয়ে ভাতিজার গলা কেটে পালিয়ে এসে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে চাকরি নেন চাচা।
গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের চান্দগাঁও থানা এলাকার খাজা রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের একটি টিম।
গ্রেফতার জালাল উদ্দিন, একই থানার হাইদগাঁও গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়ার রাজা মিয়ার ছেলে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর রাতে পাওনা টাকা না দেওয়ায় ভাতিজা রাশেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় চাচার। এক পর্যায়ে চাচার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভাতিজার গলার দুই পাশে পোচ দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভাতিজা রাশেদ। ঘটনার পর পালিয়ে যায় চাচা জামালও। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় রাশেদকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় রাশেদের স্ত্রী তাসনিম আক্তার পটিয়া থানায় জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ জানান, ঘটনার পর থেকে সিআইডি বিষয়টি নিয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে জানা যায় অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন নগরের চান্দগাঁও থানার খাজা রোড এলাকার একটি হোটেলে কাজ করছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জালাল জানিয়েছেন, পাওনা টাকা নিয়ে চাচা ভাতিজার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জালাল ধারালো ছুরি দিয়ে রাশেদের গলায় পোচ মেরে হত্যা করে। ভুক্তভোগী রাশেদের স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে জালালকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।