২৮শে মার্চ, ২০২৫

কাউন্সিলর এসরালের সঙ্গে ৫ হাজার টাকায় চুক্তিতে ছাত্রজনতার ওপর ২৮ গুলি ছোড়ে তৌহিদুল

শেয়ার করুন

বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরালের সঙ্গে ৫ হাজার টাকার চুক্তি হয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ তৌহিদুল ইসলাম ফরিদের। এরপর ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৮টি গুলি ছুড়েছিল এই সন্ত্রাসী।

গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার কমলনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, ছাত্র-জনতার ওপর একাই ২৮টি গুলি ছোড়েন তৌহিদুল।

সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

চান্দগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানাধীন শমশের পাড়ার বড় পুকুরপাড় এলাকার মনু সওদাগর বাড়ির মো. সেকান্দরের ছেলে।

আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাতক্ষীরার কামালনগর এলাকা থেকে শুক্রবার বিকেলে তৌহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নগরের চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন তৌহিদুল।

মো. রইছ উদ্দিন আরও বলেন, তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। তার ব্যবহৃত এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে। তৌহিদুলের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি একজন পেশাদার সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী।

গ্রেফতার তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানোর জন্য চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক ও মহিউদ্দীন ফরহাদের সঙ্গে ৫ হাজার টাকা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলাম।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন