১৪ই মার্চ, ২০২৫

কখনও এতিম, আবার কখনও বড় অফিসার সেজে ২ ডজন নারীর সঙ্গে চবি ছাত্রের অভিনব প্রতারণা

অভিযুক্ত চবি ছাত্র এইচ বি রাফসান

শেয়ার করুন

কখনও এতিম, আবার কখনও বড় অফিসার সেজে একের পর এক ২৪ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এইচ বি রাফসান। এরপর একেকজন একেক আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়ে ফেরত দিত না সে।

আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) নাট্যকলা বিভাগের এক ছাত্রী প্রক্টর অফিসে অভিযুক্ত রাফসানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় কৌশলে তাকে প্রক্টর অফিসে ধরে আনলে বিষয়টি সামনে আসে।

এ সময় রাফসানের মোবাইল চেক করে দেখা যায়, তার বয়সে বড়-ছোট অন্তত ২৪ জন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে রাফসান। তাদের অনেকের সঙ্গেই নানা উপায়ে প্রতারণা করেছে সে।
সেখানে দেখা যায়, নিজেকে এতিম দাবি করে এক নারীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিতে টালবাহানা করছে। আরেক নারীকে চাকরি পেলে বিয়ে করবেন বলে দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। আবার এক নারীর কাছে নিজের বাবা-মা স্ট্রোক করেছে দাবি করে সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

জানা গেছে, নাট্যকলা বিভাগের ওই ছাত্রী রাফসানের চেয়ে দুই বছর সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও পরিবারিক অসহায়ত্বের কথা বলে তার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযুক্তের মায়ের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ছিল। একবার রাফসান অসুস্থ হলে চিকিৎসার সময় তার পাশে থাকা অবস্থায় অন্যান্য নারীদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। পরে এ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রাফসান। এরপর আজ প্রায় এক বছর পর ক্যাম্পাসে রাফসানকে দেখতে পেলে বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকের সহায়তায় তাকে প্রক্টর অফিসে ধরে আনেন।

পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ অভিযুক্তকে হাটহাজারী থানায় পাঠালে ভুক্তভোগী জিডি না করায় শুধু মুচলেকা দিয়ে রাফসানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রক্টর জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর কৌশলে তাকে এখানে ধরে আনি। এরপর তার মোবাইল চেক করে অন্তত ২ ডজন নারীর সঙ্গে প্রতারণার প্রমাণ পাই। আমরা অভিযুক্তকে হাটহাজারী থানায় পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ভুক্তভোগী সাধারণ ডায়েরি না করায় মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, লিখিত অভিযোগপত্রটি ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হবে। এরপর বাকিটা আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন