চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র, ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনের নকল সিগারেটের অবৈধ গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী।
এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ব্যান্ডরোল, সিগারেট পেপার এবং টিপিং পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে সিগারেটের গায়ে লাগানো শুল্ককর পরিশোধিত স্টিকারও পাওয়া যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার সময় গোপন সংবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা যৌথ বাহিনীর একটি টিম এই বাড়িতে অভিযান চালাই। পুরো বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিচের দিকে দুটো তালাবদ্ধ রুম পাওয়া যায়। ভাড়াটিয়াকে খুঁজে না পেয়ে পরে বাড়ির মালিকের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করি। ভেতরে আমরা বিপুল প্ররিমাণ স্ট্যাম্প ব্যান্ডরোল, সিগারেট পেপার এবং টিপিং পেপার পাই। প্রাথমিকভাবে এগুলো অবৈধ বলে মনে হচ্ছে। এরপরও আমরা তদন্ত করে দেখব। অবৈধ হলে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভিযানে সিগারেটের ব্যান্ডরোল ছাড়াও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যাওয়ার একটি তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পৌঁছেছে, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আমরা দুটো রুমে তল্লাসি করেছি। এই দুটো রুমে আমরা বিদেশি মুদ্রা বা অন্য কিছু পাইনি। তবে, আমাদের অভিযান এখনও চলমান আছে, এর মধ্যে যদি কিছু পাই তাহলে আপনাদের জানাব।

অভিযোগ আছে, আব্দুস সবুর লিটন কর ফাঁকি দিতে তার গোডাউনে শুল্ককর পরিশোধিত নকল স্টিকার ছাপাতেন। নকল সিগারেট ছাড়াও আব্দুস সবুর লিটন নকল বিড়িও তৈরি করতেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ব্যান্ডরোলগুলো এখানে নিয়ে এসে মজুদ করা হচ্ছিল। যা তিনি নকল সিগারেটে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ আছে। বেশির ভাগ সময় রুমগুলো তালাবদ্ধ থাকতো। যখন তাদের প্রয়োজন তখন খোলা হতো।
সরেজমিনে দেখা যায়, হালিশহরের একটি আবাসিক এলাকার বাসাকে তিনি গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন। মূলত, কেউ যাতে সন্দেহ না করে সেজন্য তিনি এই বাসাটিতে গোডাউন বানিয়েছেন। গোডাউনটি থেকে শতশত বান্ডেল ব্যান্ডরোল বের করা হচ্ছে। যা একটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, আব্দুস সবুর লিটন চসিকের প্যানেল মেয়র এবং ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে নকল সিগারেট তৈরি এবং কারসাজির অভিযোগ ছিল। যদিও এর আগেও বেশ কয়েকবার তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।