বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি করা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। দেশে থাকলে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ।
মূলত চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে সিএমপির অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় এই উপ পুলিশ কমিশনার জানান, গত ১৫ দিনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানায় ১৬২টি মামলা করা হয়েছে। আর এসব মামলায় ৪৯৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগে ২ হাজার ৮৭৯টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এর বাইরে কোতোয়ালী এবং হালিশহর থানায় লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার চোর। কোতোয়ালী থানা থেকে লুট করা ১৪টি মোবাইলও উদ্ধার করা হয়েছে।
মাদকবিরোধী অভিযানও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে এডিসি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, গত ১৫ দিনে ২৬টি মাদক মামলা করা হয়েছে। ইয়াবা ১৮ হাজার ৯৮২ পিস, গাঁজা ৫৭ কেজি, ফেনসিডিল ১০৩ বোতল, দেশীয় ও বিদেশি মদ ৪ লিটার করে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গত একমাসে অবৈধ ৭৩০টি সিএনজি অটোরিকশা ১ হাজার ৮৯৪টি ব্যাটারি রিকশা, রুট পারমিটবিহীন গাড়ি ১ হাজার ৭৯৮টি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটা সময় পুলিশের মনোবল ভেঙে গিয়েছিলো। পুলিশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিএমপিতে পুলিশ পূর্ণ পরিসরে কাজ শুরু করেছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। আগের থেকে দ্বিগুন গতিতে কাজ শুরু করেছি। সেই কারণে আমাদের অভিযানিক সাফল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।