১৪ই মার্চ, ২০২৫

ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী কী কী করতে পারবে

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগে থেকে মাঠে আছে সেনাবাহিনী। কিন্তু এই প্রথম তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বিভিন্ন সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিরোধী দলগুলো সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবি ওঠে। তবে, নির্বাচনের মাঠে কখনোই সেনাবাহিনীকে সেই ক্ষমতা দেয়া হয়নি।

ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনাবাহিনীকে এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার পর এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে।

যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬টি ধারায় সেনা কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

ফৌজদারি কার্যবিধির এসব ধারা অনুযায়ী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন থেকে সেনা কর্মকর্তাদের সামনে কোনো অপরাধ হলে অপরাধীদের সরাসরি গ্রেফতার করতে পারবেন, দিতে পারবেন জামিনও।

বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন সেনা কর্মকর্তারা। গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারবে তারা। বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি করতে পারবে।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে রাস্তা আটকে মিছিল সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন থেকে সেনা কর্মকর্তারা বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন। একই সাথে এটি বন্ধে বেসামরিক বাহিনীকেও ব্যবহার করতে পারবে সেনাবাহিনী।

এছাড়াও স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আদেশ জারি করতে পারবে, আটক করতে পারবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন