৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫

মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্প-কমলা : একে অপরকে ‘উগ্র’ এবং ‘মার্কসবাদী’ বলে আক্রমণ

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখোমুখি এক বিতর্কের আয়োজন করে এবিসি নিউজ। সরাসরি সম্প্রচার করে বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোরসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। টানা ৯০ মিনিটের এই বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ডেভিড ম্যুর ও লিনসে ডেভিস। উত্তপ্ত এই বিতর্কে মুখোমুখি হন প্রভাবশালী দুই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আর ৫৬ দিন বাকি। এই অবস্থায় বিতর্কে উভয় প্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থানকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সম্ভবত এটাই তাদের প্রথম ও শেষ বিতর্ক।

এ সময় কমলা ট্রাম্পকে ‌‘উগ্র’ এবং ‘স্বৈরশাসকের দোসর’ বলে আক্রমণ করেন। জবাবে ট্রাম্প কমলাকে ‘মার্কসবাদী’ বলে আক্রমণ করেন।

কমলা ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুতিন একজন স্বৈরশাসক। তিনি সহজেই আপনাকে গিলে খাবেন।

ট্রাম্প কমলাকে মার্কসবাদী হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন, কমলা ও বাইডেন কারাগার, মানসিক হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লাখ লাখ মানুষকে দেশে ঢুকতে দিয়েছেন।

কমলা ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি খুবই দুর্ভাগ্য যে ট্রাম্প তার ক্যারিয়ার আমেরিকান জনগণকে বিভাজিত করার কাজে ব্যবহার করেছেন।

এদিকে বিতর্কে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের জয়কে মেনে নিতে আবারো অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সত্যিকার অর্থে তার জেতার অনেক প্রমাণ রয়েছে।

কমলা হ্যারিস বলেছেন, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মকর্মতারা তাকে মর্যাদাহীন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, কমলা হ্যারিস ইসরাইলকে ঘৃণা করেন এবং তিনি প্রেসিডেন্ট হলে দুই বছরের মধ্যে ইসরাইল অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি নেতৃত্বে থাকলে এই ধরনের যুদ্ধের সূচনা হতো না। গাজার চলমান সংকট এবং হামাসের হাতে জিম্মি বেসামরিক মানুষদের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প সরাসরি বলেন, তার প্রশাসন কখনোই এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে দিত না।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর কমলা হ্যারিস পাল্টা জবাবে অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধের দাবি এবং একইসঙ্গে গাজার পুনর্গঠনের জন্য দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

এছাড়া গর্ভপাত থেকে শুরু করে মার্কিন গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এই বিতর্কে জায়গা করে নেয়।

এর আগে, জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়ের পর তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। ডেমোক্র্যাট দলের কনভেনশনে প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কৃষাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস বর্তমানে আমেরিকার প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন