১৪ই মার্চ, ২০২৫

ওয়াসার এমডির দুর্নীতির তদন্তকে স্রেফ লোক দেখানো বলল ক্যাব

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বহু পুরনো। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিল কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। এ নিয়ে ওয়াসার এমডির সাতে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এমনকি এমডির পক্ষের লোকজন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। কয়েকদিন যেতে না যেতেই অনিময়-দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে, এই তদন্তকে স্রেফ লোক দেখানো বলছেন ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেই ফজলুল্লাহর অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে উড়ে এসেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম। এরপর রাতেই তারা ঢাকা ফিরে যায়। এর আগে, সকালে বিশ্রাম শেষে তারা ওয়াসা কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে।

মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, তিন সদস্যের টিম চট্টগ্রাম ওয়াসা ও এমডির বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ করেছে। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সংগৃহীত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করে দেখার পর সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। দু-তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শনিবার তদন্ত দল আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। তারা বলেছে, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা দিয়ে এমডির অনিয়ম তদন্ত স্রেফ লোক দেখানো।

সংগঠনের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, চুক্তিতে নিয়োগ পেয়ে এমডি ফজলুল্লাহ ১৬ বছর স্বৈরশাসকের হয়ে ওয়াসাকে অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। ১৪ বারের বেশি পানির দাম বাড়িয়ে চট্টগ্রামবাসীর ওপর বোঝা চাপিয়েছেন। মেয়ের প্রতিষ্ঠানকে স্যুয়ারেজ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন। অন্তর্র্বতী সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করলেও ফজলুল্লাহ বহাল। এমডিকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে তাঁর দুর্নীতির তদন্ত প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন