১৩ই মার্চ, ২০২৫

পরিচয় চট্টগ্রাম কারাগারে , পরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে খুন

শেয়ার করুন

নারী নির্যাতন মামলায় এক বছর চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন বোরহান উদ্দিন মায়মুন (২২)। সেখানে পরিচয় হয় চাঁদপুরের বাসিন্দা মো. সবুজের সঙ্গে, পরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। গত মাসে তারা দুজনই কারাগার থেকে জামিনে বের হন। বের হওয়ার পর মামুনকে ভালো বেতনের চাকরি আছে বলে ঢাকায় যেতে বললেন সবুজ। গত সোমবার মায়মুন ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ ছিল। চারদিন পর যাত্রাবাড়ী থানা থেকে বাঁশখালী থানা পুলিশকে জানায়, শরীর আগুনে দগ্ধ অবস্থায় মাইমুনের লাশ পাওয়া গেছে।

বোরহান উদ্দিন মায়মুন বাঁশখালী উপজেলার বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী রুহুল্লাহপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউনূসের ছেলে।

নিহতের চাচাতো ভাই কামাল উদ্দিন বলেন, সবুজ আগেও জেলে ছিল। তার সঙ্গে মায়মুনের মাত্র কিছুদিনের পরিচয়। জেল থেকে সবুজকে বের করতে তার জামিনও করায় মায়মুন। এই সবুজ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মায়মুনকে ঢাকায় নিয়ে যায়। গত মঙ্গলবার সবুজ আমার নম্বরে ফোন করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নয়তো মায়মুনকে মেরে ফেলা হবে বলে জানায়। পরে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় খুন করা হয় মায়মুনকে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় শুক্রবার মামলা হয়েছে। পুলিশ সবুজকে খুঁজছে।

বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, যাত্রাবাড়ী থানা থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি তাদের জানানো হয়। পুলিশ আসামি সবুজকে খুঁজছে।

 

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন