৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অল্প সময়ে ফুলেপেঁপে ওঠা এস আলম গ্রুপেরও ধ্বস নামতে শুরু করেছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আসতে আসতে হারাতে বসেছে জোরপূর্বক দখল করা ব্যাংকগুলোও। এর আগে ৮টি ব্যাংককে এস আলমের দখলমুক্ত করা হয়। এবার সেই ৮টির সঙ্গে যুক্ত হলো আরও দুই ব্যাংক- আল আরাফাত ইসলামী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি আদেশে পর্ষদ বাতিল করা হয়, ওই আদেশে নতুন পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
ব্যাংক দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

এর আগে যে আটটি ব্যাংক দখল মুক্ত করা হয়েছিল : ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউসিবি, এক্সিম ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আতাউল রহমান, মেঘনা ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহসিন মিয়া ও চার্টার্ড একাউন্টেট শেখ আশ্বফুজ্জামানকে। এ ছাড়া দুজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ ও জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা। কামরুল হক মারুফ বর্তমানে সরকারের প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে আছেন এবং গোলাম মরতুজা জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন ।
স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান।