১৪ই মার্চ, ২০২৫

৮১’তেও ফয়জুল্লাহ ওয়াসার এমডির চেয়ার দখলে, ‘বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ’ করল অবাঞ্ছিত ঘোষণা

‘বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ’ সংগঠনের ব্যানারে ওয়াসা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ওয়াসা যেন দুর্নীতি যেন এক আতুর ঘর। ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফয়জুল্লাহ ২০০৯ সালে সরকারি ভাবে অবসরে যাবার পর, দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর ধরে তিনি এখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চেয়ার আকঁড়ে ধরে আছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ’র পদত্যাগ দাবিতে আজ মঙ্গল বার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ‘বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ’ সংগঠনের ব্যানারে ওয়াসা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা হয়েছে। ফজলুল্লাহ আওয়ামী লীগ সরকারের পুরো মেয়াদে এ পদে থাকার পর এখনও একই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

ঘেরাও কর্মসূচি পালনের সময় ওয়াসার পরিচয়পত্র গলায় থাকা ২০-৩০ জনের একটি দল আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে ছয় জন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এদিন বেলা ১১টার দিকে একই সংগঠন তার পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল। এর পর, আন্দোলনকারীরা ফজলুল্লাহ’র কক্ষে প্রবেশ করলে তিনি উচ্চস্বরে তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে অবশ্য তিনি বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষমা চান। এ ঘটনায় ‘বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ’ ফজলুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির অনেক দুর্নীতি ও অনিয়ম আছে। তার নিজ পরিবারের ২০ জনকে অবৈধভাবে ওয়াসায় চাকরি দিয়েছেন। নিজের ভাগ্নের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ করছেন। স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। আমরা তার পদত্যাগ ও শাস্তি দাবি করছি। আমাদের আন্দোলন লাগাতার চলবে।’

 

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন