সাম্প্রতিক সময়ে ভারি বর্ষণ এবং উজানের পানিতে সৃষ্টি ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে ফেনী জেলায়। গতকাল পর্যন্ত ফেনীতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আজ একলাফে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। সূত্রে জানা যায়, ফেনীতে মৃতের সংখ্যা শতাধিক পার হতে পারে।
জানা গেছে, দেশের বন্যাদুর্গত ১১ জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। তাদের অধিকাংশই পানিতে ডুবে মারা যান। বাকিরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে সিলেট জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সার্বিক উন্নতির দিকে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী রেজা এসব তথ্য জানান।

কেএম আলী রেজা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তথ্যানুযায়ী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন। পানিবন্দি রয়েছে ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ফেনীতে ১৭ জন। মৌলভীবাজারে নিখোঁজ একজন। সিলেট জেলা থেকে পাওয়া আজকের তথ্যানুযায়ী বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১১ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য ৩৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে মোট ৫ লাখ ২৫০১ লোক এবং ৩৬ হাজার ৪৪৮টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য ৫৯৫টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সানজিদা ইয়াসমিন মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানান, পানিতে ডুবে যাওয়া বিদ্যুৎস্পষ্ট হওয়া এবং সাপের কামড়ে এরা মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
তিনি জানান, এর মধ্যে কুমিল্লায় ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, ফেনীতে ১৭ জন, নোয়াখালীতে ৮ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৭ শিশু রয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন।