সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ১১ জেলায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে, বেরিয়ে আসছে মৃত দেহ । সবচেয়ে বেশি ফেনী-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে। এসব এলাকায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১১ জেলায় বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে। এর মধ্যে ফেনীতে সবচেয়ে বেশি, ২৩ জন।
প্রতিবেদন বলা হয়, বন্যায় মৃত লোকসংখ্যা ৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ৬ জন ও শিশু ১২জন। কুমিল্লা-১৪, ফেনী ২৩, চট্টগ্রাম ৬, খাগড়াছড়ি ১, নোয়াখালী ৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১, লক্ষ্মীপুর ১ ও কক্সবাজার ৩ জন, মৌলভীবাজার ১ জন। নিখোঁজ লোকসংখ্যা ১ জন (মৌলভীবাজার)।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, ৬৮টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৫০৪টি। বর্তমানে মোট ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।
পানিবন্দি/ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য মোট ৫১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
