১৫ই মার্চ, ২০২৫

আরাফাতের গ্রেফতারে মহাখুশি হিরো আলম; থানায় মিষ্টি বিতরণ, করবেন মামলা

গুলশানে মিষ্টি বিতরণ করছেন হিরো আলম

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের থিঙ্ক ট্যাঙ্গ হিসেবে পরিচিত তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের গ্রেফতারের খবরে মহাখুশি বিনোদন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। গ্রেফতারের খবর পাওয়া মাত্রই মিষ্টি নিয়ে গুলশান থানায় ছুটে গেলেন তিনি। আগামীকাল আদালতে উপস্থিত থেকে হত্যাচেষ্টা মামলা করবেনও বলে জানান।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ঠিক কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা জানা যায়নি।

এর আগে গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।

থানায় মিষ্টি বিতরণের কারণ জানতে চাইলে হিরো আলম গণমাধ্যমকে জানান, আমি জেনেছি আরাফাতকে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। তাই থানার সামনে গিয়ে মিষ্টি বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই আমার কাছে বড় প্রতিবাদ ও অনন্দের বিষয়।

মোহাম্মদ আলী আরাফের প্রতি হিরো আলমের ক্ষোভের কারণ ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন। ওই নির্বাচনে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরাফাত। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভোটের দিন হিরো আলমকে পিটিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই দিন হিরো আলম গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, আরাফাতের নির্দেশেই এই হামলা।

এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আপনারা দেখেছেন আমি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে আরাফাতের নির্দেশে কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দায়িত্বরত পুলিশও আমাকে তাদের হাত থেকে বাঁচায়নি। আমি কোনো মতে বেঁচে ফিরেছিলাম।

প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ আলী আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইতে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন