১৪ই মার্চ, ২০২৫

সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা পায়নি সরকার, নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

সন্ত্রাস ও সহিংসতার কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরসহ সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এদিকে, দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল । তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দল। তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না।

বুধবার (২৮ আগস্ট) জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই; এবং যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে’ তাই দলটির নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো।

দায়িত্ব গ্রহণের ২৩তম দিনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এবং তার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার করলো অন্তর্বর্তী সরকার।

আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি নই, যদি না কোনো জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় তারা লিপ্ত থাকে। সত্যিকার অর্থে যদি কোনো রাজনৈতিক দল জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকে, তাহলে প্রচণ্ড সততার সঙ্গে তদন্ত করে এমন কিছু করা যেতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সংবিধান অনুসারে সংগঠন করার স্বাধীনতা আছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দল, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তাদের অবদান ছিল। কিন্তু গেল ১৫ বছরে তারা যা করেছে, সেটা তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। এ কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগত দায় থাকতে পারে, নেতাদের সামষ্টিক দায় থাকতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে বলে আমি মনে করি না।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন