গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, জামায়াত–শিবির নিজেদের কর্মীদের অন্য দলে ঢুকিয়ে দিয়ে বিভ্রান্তি ও ক্ষতি করছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই নীতি দেশের রাজনীতি ও ইসলাম দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় এসেছে জামায়াত–শিবিরের “গুপ্ত কৌশল”। গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি জামায়াত–শিবির নিজেদের কর্মীদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে যুক্ত করছে। এর ফলে শুধু সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে না, বরং দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ ও বিভাজনও তৈরি হচ্ছে।
শুক্রবার নিজের ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত–শিবির তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময় পার করছে। কিন্তু অন্য দলে প্রবেশ করে প্রভাব বিস্তার করার নীতি পুরো দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যদি তারা সত্যি মধ্যপন্থী ধারার রাজনীতি করতে চায়, সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাব। তবে তাদের রাজনীতি অবশ্যই প্রকাশ্য ও স্বচ্ছ হতে হবে। ইসলামি রাজনীতি করলে সেটা স্পষ্টভাবে করতে হবে, আর মধ্যপন্থী রাজনীতি করলে সেটাও পরিষ্কারভাবে করতে হবে। কৌশল বা আড়াল করে রাজনীতি করলে ইসলাম ও রাজনীতি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
রাশেদ খানের মতে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে জামায়াত–শিবিরও ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই তিনি আহ্বান জানান, দলটি যেন অন্য দলে গোপনে কর্মী ঢোকানোর এই নীতি থেকে সরে আসে।







