বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আমির নির্বাচন, যেখানে গোপন ও প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সারাদেশের এক লাখের বেশি রুকন সদস্য অংশ নেবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যেই দুটি সম্ভাব্য প্যানেল নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে। এক প্যানেলে রয়েছেন বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। অন্যদিকে, আরেকটি প্যানেলে আজহারের পরিবর্তে স্থান পেয়েছেন বর্তমান নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা প্রাথমিকভাবে তিনজন প্রার্থী মনোনীত করে। পরবর্তীতে রুকন সদস্যরা গোপন ভোটে একজনকে আমির হিসেবে নির্বাচন করেন। তবে ভোটাররা চাইলে প্যানেলের বাইরের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও স্বাধীনতা রাখেন।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার মতে, জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা নতুন আমিরের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হবে।
বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো আমির নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে পুনর্নির্বাচিত হন। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—গঠনতন্ত্রে তিন বছরের মেয়াদ নির্ধারিত হলেও একজন ব্যক্তি কতবার আমির নির্বাচিত হতে পারবেন সে বিষয়ে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
ফলে ডিসেম্বরের এ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল তুঙ্গে—কে হচ্ছেন জামায়াতের পরবর্তী আমির?







